একটি পন্য অর্গানিক হতে হলে অবশ্যই কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এটি অর্গানিক সার্টিফাইড হতে হয় এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের Organic Seal/ Logo পন্যের লেবেলে মুদ্রিত থাকবে। Seal দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে পন্যটি কোন দেশের Organic Standard অনুসরন করে চাষাবাদ/ উৎপাদন করা হয়েছে। অধিকাংশ উন্নত দশেই এখন অর্গানিক সার্টিফিকেশনের জন্য নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অর্গানিক সার্টিফিকেশনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। গবেষণায় দেখা গেছে ,নন অর্গানিক ফুড ক্ষতিকর ও অর্গানিক ফুড স্বাস্থ্যসম্মত ।জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রমাণ করেছে যে ,অর্গানিক খাদ্যে রাসায়নিক মাত্রা কম থাকে । রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকায় ক্যান্সার ,প্রজননক্ষমতা হ্রাস ,পেটের রোগ হৃদরোগ ,ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন রোগ হয় ।জার্মানিতে ১২বছরব্যাপী এক গবেষণায় দেখা গেছে -অর্গানিক খাদ্যের পটাশিয়াম ,আয়রন ,ম্যাগনেশিয়াম ,ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস ও ভিটামিন সি বেশি থাকে নন অর্গানিক খাদ্যের চেয়ে ।মার্কিন এক গবেষণায় জানা যায় ,নন অর্গানিক খাদ্যের চেয়ে অর্গানিক খাদ্যে ক্যালসিয়াম ৬০শতাংশ ,আয়রন ৭৩শতাংশ ,পটাশিয়াম ১২৫শতাংশ ও জিংক ৬০শতাংশ বেশি থাকে ।এছাড়া ও অর্গানিক খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ লেড (পারদ)২৯শতাংশ কম পাওয়া গেছে ।
অর্গানিক খাদ্যে ফাইটো ক্যামিক্যাল বেশি থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ।এতে ক্যান্সার প্রতিরোধক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে ।জৈব সারের রাসায়নিক উপাদান প্রাকৃতিক হওয়ায় মানবদেহের জন্য উপযোগী ।অর্গানিক ফুডকে জিএম ফুডের বিপরীত ফুড বলা হয়। জিএম ফুড হলো জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফুড। সাধারণভাবে আমাদের কাছে যা হাইব্রিড নামে পরিচিত। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও ক্রমহ্রাসমান ফসলি জমির দরুন একসময় এই জিএম ফুডকে বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রাপ্ত নিয়ামত ভাবা হলেও এখন আর তা ভাবা হচ্ছে না। বর্তমানে প্রায় সব বিজ্ঞানীই এ ব্যাপারে একমত জিএম ফুডে খরচের চেয়ে লাভ বেশি হলেও শারীরিকভাবে ক্ষতি ঢের বেশি। তাই জিএম ফুডের জায়গা দখল করছে অর্গানিক ফুড। অর্গানিক ফুডের আওতায় ধান, গম, আলু, পটোল ও শাকসবজিসহ অন্যান্য কৃষিজাতদ্রব্য ও গবাদিপশু রয়েছে।আমাদের দেশে অর্গানিক ফুড কথাটি গত কয়েক বছর ধরে শোনা গেলেও এখন অবধি অনেকেই জানে না অর্গানিক ফুড সম্পর্কিত তথ্য।প্রায় সব ফল, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে সবরকম খাবার জিনিসেই, শিশুখাদ্যে পর্যন্ত ভেজাল যখন মানুষকে শেষ সীমায় নিয়ে যায় তখন ভেজালের ভিড়ে ভেজালমুক্ত খাবার আল্লাহর নিয়ামত ভাবছেন সাধারণ মানুষ। তবে, অর্গ্যানিক ফুড নিয়ে বিরোধীদের সংখ্যাও কম নয়। অনেকেই এর বাস্তব গ্রহণযোগ্যতা বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দরিদ্র রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এর উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, র্বতমানের অর্গ্যানিক ফুড সোনার হরিণ। যা বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে। সাধারণ খাবার কিনতেই যেখানে নিম্নবিত্তদের নাভিশ্বাস উঠছে সেখানে খাদ্যদ্রব্য এ রকম ব্যয়বহুল হয়ে গেলে খাওয়াই ছেড়ে দিতে হতে পারে।
সূত্রঃ গুগল।
জনসচেতনায়ঃ নিখাদ (অর্গানিক অনলাইন গ্রোসারি স্টোর)
ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/NikhadOfficial
——————————————————————————————–
#organicfood #howtofindorganicfood #whatisorganicfood #whatactualyorganicfood #organicfoodbd #benifiteoforganicfood #helthbenifitoforgancifood #organicfoodbd